
অনলাইন ডেস্ক | শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি দাবি করেন- নোবেল পুরস্কার ড. ইউনূস একা পাননি, বরং তসলিমা বেগম নামের এক নারীর সঙ্গে যৌথভাবে পেয়েছিলেন।
তসলিমা নাসরিনের অভিযোগ, ড. ইউনূস পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার কারণে সেই নারীকে ইতিহাসের আড়ালে ঠেলে দিয়েছেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তসলিমা নাসরিন উল্লেখ করেন, নোবেল পুরস্কারের অর্ধেক অংশ ড. ইউনূসের এবং বাকি অর্ধেক তসলিমা বেগমের।
অথচ তসলিমা আধা নোবেলের মালিক হয়েও বছরের পর বছর পুরো নোবেলের সম্মান একাই ভোগ করে আসছেন ড. ইউনূস।
তিনি আরও বলেন, নোবেল পাওয়ার সুবাদে ড. ইউনূস নানা পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হলেও, তিনি কখনোই কাউকে মনে করিয়ে দেননি যে তার সঙ্গে একজন নারীও এই পুরস্কারের অংশীদার ছিলেন।
তসলিমা নাসরিন তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘‘কাউকে তিনি মনে করিয়ে দেননি যে তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে একজন নারীও পেয়েছিলেন নোবেল। তিনি হাপিস করে দিয়েছেন তাঁর নোবেলের সঙ্গিনীকে। মানুষ ভুলেই গিয়েছে তসলিমা বেগমের কথা।’’
লেখিকা গুরুতর অভিযোগ তুলে বলেন, তিনি শুনেছেন তসলিমা বেগমকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে জোর করে বের করে দেওয়া হয়েছে।
ড. ইউনূস নিজেকে অঢেল সম্পদের মাঝে এবং প্রচারের আলোয় রাখলেও, তার নোবেলজয়ী সঙ্গিনীকে দারিদ্র্যের অন্ধকার খাদে ছুড়ে ফেলেছেন।
বর্তমানে তসলিমা বেগম অচেনা মানুষের মতো বেঁচে আছেন এবং কেউ জানে না যে তিনিও একজন নোবেল বিজয়ী।
ড. ইউনূসের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তসলিমা নাসরিন বিষয়টিকে ‘চরম পুরুষতান্ত্রিকতা’র উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘পুরুষ যখন নারীবিদ্বেষী এবং চরম পুরুষতন্ত্রে বিশ্বাসী, তখন নারীর প্রতিভাকে তারা যে করেই হোক আড়াল করতে চায়, আর নিজের যৎসামান্য প্রতিভাকেও ঢোল বাজিয়ে জানিয়ে দেয়। এই ষড়যন্ত্রে ইউনুস খুবই পারদর্শী।’’
তসলিমা নাসরিনের এই স্ট্যাটাসটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সূ ত্র : আ জ কে র ক ন্ঠ