ডিসি'র নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষিত
সাদাপাথর কাণ্ডের পর সিলেট জেলার সর্বত্র অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলন রোধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারী করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক সারোয়ার আলম। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা আমলে নেয়নি সীমান্ত উপজেলা গোয়াইনঘাটের পাথর ও বালুদস্যুরা। দস্যুরা একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে বেআইনী বালু-পাথর উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি চলছে প্রশাসনের নামে চাঁদাবাজিরও মহোৎসব।
স্থানীয় সংবাদ সূত্র জানায়-উপজেলার জাফলং বাজারের জমিদার মসজিদের নিচ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও চাঁদাবাজি চলছে। একটি প্রভাবশালী দস্যুচক্র ফেলুডা ড্রেজারের মাধ্যমে নদীতীর ভেঙ্গে লুটে নিচ্ছে বালু ও পাথর।
উত্তোলিত বালুর প্রতিটি ট্রাক থেকে ১ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছে স্থানীয় চাঁদাবাজ হেলওয়ার, ইউসুফ ও মাহমুদ সহ কয়েকজন। তারা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের নামে চাঁদা আদায় করছে।
অন্যদিকে উপজেলার ৩ নং-পূর্ব জাফলং ইউনিয়নে মামার বাজারের উত্তর-মেঘনা ২ স্টোন ক্রাশার মিলের পশ্চিম পার্শ্বে ইসিএ এলাকা থেকে অবাধে বালু-পাথর উত্তোলন করছে আরেক লুটেরা চক্র।
তারা হচ্ছ- রিয়াজ আহমেদ, রাব্বি আহমেদ, ফারহান আহমেদ, রিয়াদ আহমেদ, নজরুল ইসলাম গং
পাথরখেকো চক্রের সদস্য। তারা পুলিশ ও প্রশাসন ম্যানেজ নামে নৌকা ও গাড়ি বুঝে ১ হাজার' থেকে ২ হাজার টাকা করে বখরা আদায় করে থাকে।
এলাকার বাসিন্দা সুমন আহমদ জানান-উল্লেখিত পাথরদস্যুরা আমার বসত ভিটা থেকে পেলোডার ড্রামট্রাক নামক গাড়ী দিয়ে জোরপূর্বক পাথর লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। রাতে দিনে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করছে নিষিদ্ধ ইসিএ (ECA) এলাকা থেকেও। এই লুটেরাচক্র অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করে লক্ষ লক্ষ টাকার পাথর বিক্রয় করছে । এতে করে এলাকার পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে। ধ্বংসের মুখে এলাকার বাড়িঘর ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা এবং জনচলাচলের রাস্তাঘাট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা দেখেও অজ্ঞাত কারণে না দেখার ভান করছে। তাই এলাকার ঘরবাড়ি ও পরিবেশ রক্ষার্থে পাথর লুটপাট বন্ধসহ লুটরাদের বিরুদ্ধে আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক। নতুবা পরিবেশের বিরাট ক্ষতির স্থল বটে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী সিলেটের সংবাদকে জানান-"পাথর উত্তোলন সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। চোরাইভাবে টুকটাক কিছু বালু উত্তোলন হয়, খবর পেলে আমরা তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে থাকি। মাত্র কদিন আগে বালুভর্তি নৌকাসহ ১জনকে আটক করা হয়েছে।
জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম তালুকদার সিলেটের সংবাদকে বলেন- থানা এলাকা অনেক বড়,জনবল কম থাকায় সর্বত্র পাহারা বসানো সম্ভব হয় না, তবুও বালু-পাথর উত্তোলনের খবর পাওয়া মাত্রই অভিযান পরিচালনা করে থাকি।
সূ ত্র: দৈ নি ক সি লে টে র সং বা দ