
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বৈষম্যের প্রতিবাদে ও চার দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সোমবার (১লা ডিসেম্বর) সকালে সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গণে কর্মবিরতি পালন করেছেন বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস) সিলেট জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
সহকারী শিক্ষক পদটিকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারভুক্ত করে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গেজেট দ্রুত সময়ে প্রকাশ, বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষকদের বিভিন্ন শূন্য পদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন দ্রুত কার্যকরা করা, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরি আদেশ ৩ কর্মদিবসের মধ্যে প্রদান করা এবং ২০১৫ সালে পূর্বের মতো সহকারী শিক্ষকদের ২/৩টি ইনক্রিমেন্ট সহ বর্ধিত বেতন সুবিধা বহাল করে গেজেট প্রকাশ করার দাবিতে বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে এ কর্মবিরতি পালন করা হয়।
শিক্ষক নেতৃবৃন্দ ১ ডিসেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত লাগাতার কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষনা দেন। কর্মবিরতি চলাকালে কোন ধরণের পরীক্ষা নেওয়া হবে না। ৩ ডিসেম্বর পর দাবি না মানা হলে কঠোর কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রভাতি শাখার প্রধান শিক্ষক হেপী বেগম, দিবা শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক (চাঃ দাঃ) জায়েদা গুলশান সিদ্দিকা, প্রভাতি শাখার সহকারী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপালী বিশ্বাস, সিনিয়র শিক্ষক রাফিজা খানম, লায়লা নার্গিস, দিবা শাখার সিনিয়র শিক্ষক মো. তাজুল ইসলাম, মো. আলী মর্তুজা, কোহেলী রানী রায়, মো. মুহিবুর রহমান, সালমা মনির, প্রভাতি শাখার সিনিয়র শিক্ষক রোকশানা বেগম, মো. আলতাব হোসেন চৌধুরী, নেপুর চন্দ্র পাল, ফরহাত আরা বেগম, নাজনীন জাহান মিলি, তরুণ কান্তি সরকার, মো. আমিমুল এহছান, মারহুমা বিনতে সাত্তার, জেসমীন আরা বেগম, মোহাম্মদ গোলাম দস্তগীর, সুপ্রতিম রায়, তারেক মিয়া, রেজাউল করিম, সহকারী শিক্ষক শাহ সানজিদা আক্তার, মো. জসিম উদ্দিন, অলকা দাশ, মাধবী রানী দাস, পার্থ প্রতীম শর্ম্মা, হুসাইন আহমদ, মো. আলী আজমান, দিবা শাখার সিনিয়র শিক্ষক দেবশ্রী দাস, সুভাস চন্দ্র নাথ, সমীরন দাস, শরীফা খাতুন, সাগরিকা গুপ্তা, মোহিত লাল সরকার, সহকারী শিক্ষক পূণিমা রানী দাশ তালুকদার, হাসিনা জান্নাত, ইশতিয়াক হোসেন মুনশি, মো. ফরহাদ সোলেমান, শ্রাবনী দাস সুইটি, মো. শহিদুল ইসলাম, আরিফা আক্তার, কাজী নূরজাহান, প্রবন কুমার দাস, মো. আব্দুল জব্বার, মো. সিদ্দীক হায়দার সেতু কুন্ড, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ প্রমুখ।
কর্মবিরতি পালনকালে নেতৃবৃন্দ বলেন, সহকারী শিক্ষকরা মাধ্যমিক শিক্ষার ভিত্তি গড়ে তোলেন, অথচ দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের ন্যায্য দাবি ও অধিকার উপেক্ষিত হচ্ছে। শিক্ষকরা কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, বরং নিজেদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই আন্দোলনে নেমেছেন। তারা আরও বলেন, শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্তকরণ, টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের বকেয়া প্রদান, শূন্য পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি- এসব দাবি বাস্তবায়ন করা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব।
নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যথাসময়ে দাবিগুলো পূরণ না হলে কর্মসূচি আরও কঠোর করা হবে। একই সঙ্গে তারা আশা প্রকাশ করেন, সরকার শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করবে এবং চলমান অচলাবস্থা দূর করবে।