1. live@shikhabd.info : শিখাবিডি : শিখাবিডি
  2. info@www.shikhabd.info : শিখাবিডি :
রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩০ অপরাহ্ন

ছাতক বিদ্যুৎ অফিসে অনিয়মের ছড়াছড়ি: গ্রাহকরা ঘুষের কাছে হার মানছে

প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

 

সাজ্জাদ মনির, ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নির্বাহী প্রকৌশলী, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ (বিউবো) অফিসে দীর্ঘদিন ধরেই অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষবাণিজ্যের কুৎসিত ছায়া বিরাজ করছে। অসংখ্য ভুক্তভোগী গ্রাহক ও স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, অফিসটি এখন যেন ‘ঘুষ ও দুর্নীতির দুর্গ’। নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদের যোগদানের পর থেকেই তার নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী ঠিকাদার সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, যারা খোলামেলা ঘুষ বাণিজ্য ও ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে পুরো বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।

বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ, মেরামত, নতুন সংযোগ এবং বিল সংশোধনের জন্য গ্রাহকদের থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ নেওয়া হচ্ছে। ঘুষ না দিলে হয়রানি ও মাসের পর মাস দপ্তরে দপ্তরে ঘুরতে হয়। মিটার রিডিং না দেখে অতিরিক্ত বিল তৈরি করা হচ্ছে এবং নিরপরাধ গ্রাহকদের নামে বকেয়া বিলের মামলা দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, মিটার নষ্ট হওয়ার পর নতুন মিটার স্থাপনের ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা লেনদেনের তথ্য রয়েছে, যা বিভিন্ন ওয়ার্ডে সংঘটিত হচ্ছে। একাধিক গ্রাহক অসৎ সিন্ডিকেটের কারণে অর্থগত ক্ষতির মুখে পড়ছেন এবং প্রশাসনের অবহেলা দেখা যাচ্ছে।

ইসলামপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ হাসান মোহাম্মদ রুহেল নামে এক ব্যক্তিকে বকেয়া বিল না থাকা সত্ত্বেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তিনি আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে, প্রকৃত বকেয়া বিলদাতা নাজমুল হুদা (মিটার নম্বর ৪৪২৭৩০৭০) যার পাওনা প্রায় দুই লাখ সতেরো হাজার টাকা, কিন্তু সত্ত্বেও রুহেলকে হয়রানি করা হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত হচ্ছে, যা সরকারি সেবা ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

গ্রাহকদের হয়রানি ও অভিযোগ সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, যা স্থানীয়দের মাঝে উদ্বেগ এবং ক্ষোভ বাড়িয়ে তুলেছে। দূর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল কাদের বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি। যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয়রা দাবি করছেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে এই ধরনেরঅনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করতে দ্রুত কড়াকড়ি ও তদন্ত করা উচিত, যাতে সাধারণ মানুষ সুষ্ঠু সেবা পেতে পারে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট