কেউ বানিয়েছে অটোমেশন বেইজড স্মার্ট বাড়ি, আবার কেউ কেউ এ আই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানিয়ে ফেলছে একদম নতুন সফটওয়ার যার মাধ্যমে একসাথে ,একই প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ন অনেক তথ্য, আবার কেউবা তৈরি করেছে ফায়ার ফাইটিং রোবট,যে রোবট আগুন লাগা মাত্র ফায়ার এলার্ম দিচ্ছে এবং অগ্নি নির্বাপনে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে । একেকটা ষ্টল যেন ক্ষুদে ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতিভা বিকাশের মঞ্চ।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের অন্যতম প্রাচীন বিদ্যাপীঠ সিলেট পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট প্রাঙ্গণে স্কিলস এন্ড ইনোভেশন কম্পিটিশনে বিভিন্ন ষ্টল ঘুরে এমন অভিনব দৃশ্যই দেখা যায় ।
আয়োজকরা বলেন, কারিগরি শিক্ষার্থীদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি বিকাশের জন্য এসেট প্রকল্পের আওতায় ইনষ্টিটিউট পর্যায়ে স্কিলস এন্ড ইনোভেশন কম্পিটিশনের এবছর সিলেট পলিটেকনিকে মোট ৪৫ জন শিক্ষার্থী মোট ২১ টী ষ্টল দিয়েছে। ষ্টল গুলোর মধ্যে রয়েছে অটোমেটিক সিকিউরিটি সিষ্টেম, আল্ট্রা স্মার্ট সিকিউরিটি সিষ্টেম এন্ড অটোমেশন বেইজড স্মার্ট হোম, স্মার্ট ট্রাফিক কন্ট্রোল সিষ্টেম, ফায়ার ফাইটিং রোবট, ওয়ারলেস পাওয়ার সিষ্টেম, বি আই এম বেইসড আর্কিটেকচারাল এন্ড ষ্ট্রাকচারাল ডিজাইন , স্মার্ট ডাটাবেইজ সিষ্টেম সহ বিভিন্ন ব্যতিক্রমী উদ্ভাবন।
আয়োজক জানা যাইয়, সরকারী – বেসরকারি পলিটেকনিক, টিএসসি সহ মোট ২২৭ টি প্রতিষ্ঠানে এক যোগে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শনিবার সন্ধায় সিলেট পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের কনফারেন্স হলে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রিহান উদ্দিনের সভাপতিত্বে, দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রেহানা ইয়াসমিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন , কারিগরি শিক্ষায় সিলেট পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট যে সারাদেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে সেটি আজকের স্কিলস কম্পিটিশনে প্রমাণিত হয়েছে। স্বল্প সময়ে এত চমতকার চমতকার প্রজেক্ট যে এখানকার শিক্ষার্থীরা করেছে এতে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই।
তিনি সিলেটের অভিবাবক সহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বর্তমানে সমস্ত বাংলাদেশের মধ্যে সিলেটের মানুষ যেভাবে কারিগরি শিক্ষাকে ধারন করছে এটি এক কথায় অনুসরনীয়।
অতিরিক্ত সচিব রেহানা ইয়াসমিন বলেন, কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং দেশকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে পলিটেকনিক শিক্ষার বিকল্প নেই। এসময় তিনি সবাইকে কারিগরি শিক্ষার প্রসারে কাজ করার আহবান জানান।
প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রকৌশলী মো. মাকসুদুর রহমান, ৪র্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলায় কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই সেটা আমরা সবাই জানি তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় খুবই গুরুত্বপূর্ন।
এদিকে সভাপতির বক্তব্যে সিলেট পলিটেকনিক ইনষ্টীটিউটের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রিহান বলেন আগামীটে শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে এ ধরনের আয়োজ়নে সবসময় পাশে থাকবে সিলেট পলিটেকনিক কর্তৃপক্ষ।
আলোচনা সভা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে সনদ বিতরণ অতিথিরা। এর আগে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত সবগুলো প্রজেক্ট পরিদর্শন করেন অতিথিবৃন্দ।