
সুনির্মল সেন:
সন্ধ্যার পর সিলেটের মেজরটিলা এলাকায় সংঘটিত সংঘবদ্ধ লুটের নাটকীয় ঘটনায় বিএনপি কর্মী সেলিম আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে শাহপরান থানা পুলিশ।
ড্রাইভারকে জিম্মি করে ২ লাখ টাকার পেঁয়াজ লুটের এ ঘটনা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। তদন্ত–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, এটি ছিল সম্পূর্ণ পূর্ব-পরিকল্পিত অপরাধী চক্রের অপারেশন।
পুলিশ জানায়, অন্য জেলা থেকে পেঁয়াজ বোঝাই একটি পিকআপ মেজরটিলা বাজারে পৌঁছালে হঠাৎ ২০–২৫ জনের সংগঠিত একটি দল গাড়িটি অবরোধ করে। তারা ড্রাইভারকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল, মারধর ও জিম্মি করে নূরপুর এলাকার একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তারা ৫২ বস্তা পেঁয়াজ আনলোড করে পিকআপটি পার্শ্ববর্তী ৩৫ নং ওয়ার্ডের চামেলীবাগ এলাকায় ফেলে রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ড্রাইভার জানান, তিনি স্থানীয় নন—দূরের জেলা থেকে মাল আনছিলেন। পেঁয়াজের মোট বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা। জীবন–হুমকির মুখে পড়ে সুযোগ পেয়ে তিনি দ্রুত ৯৯৯–এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান।
এমন খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসআই আলিফের নেতৃত্বে একটি টহল দল দ্রুত অভিযান শুরু করে। পিকআপের জিপিএস ট্র্যাকার অনুসরণ করে পুলিশ খুব অল্প সময়ের মধ্যেই লুট হওয়া মালামালের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে লুটচক্র পালানোর চেষ্টা করে। ধাওয়ার একপর্যায়ে বিএনপি কর্মী সেলিম আহমেদকে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, মেজর টিলা থেকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম অন্তত ৬ জন সহযোগীর নাম স্বীকার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সেলিম আহমেদ শুধু বিএনপির কর্মীই নন, তিনি শাহপরান (রহ:) থানা জাতীয়তাবাদী তাতী দলের আহ্বায়ক পদের প্রার্থী হিসেবেও পরিচিত। রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় এই ব্যক্তির লুটপাটের ঘটনায় জড়িত থাকা এলাকায় ব্যাপক আলোচনা তৈরি করেছে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, জব্দ করা ৫২ বস্তা পেঁয়াজ ও আটক সেলিম আহমেদকে শাহপরান থানায় নেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, এটি বড় একটি চক্রের কাজ—বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।