
অনলাইন ডেস্ক | সব জল্পনার অবসান, ইহলোকের মায়া কাটালেন ধর্মেন্দ্র মাসের শুরুতে বেশ কয়েকবার খবর ছড়িয়ে পরে বলিউডের এভারগ্রিন সুপারস্টার ধর্মেন্দ্র আর নেই। সেগুলো পরে গুজব বলেই প্রমাণিত হয়। তবে মৃত্যুর সঙ্গে লুকোচুরি খেলায় আর পারলেন না এই তারকা।
আজ সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে ভারতের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র মৃত্যুবরণ করেছেন। ৮৯ বছর বয়সে নিজ বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। খবর ফিল্মফেয়ারের।
মাসের শুরুর দিকে শ্বাসকষ্টজনিত জটিলতায় মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে।
ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বলিউডে। ভক্ত, সহকর্মী, নির্মাতা—সবাই গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ‘হি-ম্যান’ ও ‘ধরম পাজি’ নামে পরিচিত এই অভিনেতা ছয় দশকের বেশি সময় ধরে ভারতীয় সিনেমায় দাপটের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার করেছেন।
১৯৬০ সালে সিনেমায় অভিষেকের পর দ্রুতই জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসেন ধর্মেন্দ্র। রোমান্টিক নায়ক থেকে অ্যাকশন হিরো—সব ধরনের চরিত্রেই তিনি ছিলেন সমান দক্ষ। ৩০০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি, যার অনেকগুলোই ভারতীয় সিনেমার ক্লাসিক হিসেবে স্বীকৃত।
‘শোলে’–তে ভিরুর চরিত্রে তার অভিনয় আজও দর্শকদের মনে অম্লান। এছাড়া ফুল অউর পাথর, সীতা অউর গীতা, চুপকে চুপকে, ধরম ভীর এবং প্রতিজ্ঞা—প্রতিটি চলচ্চিত্রেই তিনি উপহার দিয়েছেন স্মরণীয় অভিনয়।
ভারতীয় চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৭ সালে ফিল্মফেয়ার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন তিনি। ২০১২ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করে।
সর্বশেষ ২০২৪ সালে শাহিদ কাপুর ও কৃতি স্যানন অভিনীত তেরি বাতোঁ মোঁ অ্যায়সা উলঝা জিয়া চলচ্চিত্রে শাহিদের দাদার ভূমিকায় দেখা যায় তাকে। রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি ছবিতেও তার অভিনয় ছিল প্রশংসিত। তার শেষ অভিনীত চলচ্চিত্র হতে যাচ্ছে ইক্কিস, যেখানে তিনি অভিনয় করেছেন অগত্স্য নন্দার দাদার চরিত্রে। এ ছবিটিই হবে তার চূড়ান্ত পর্দা উপস্থিতি।
ধর্মেন্দ্র রেখে গেছেন স্ত্রী হেমা মালিনী, প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর, ছেলে সানি দেওল ও ববি দেওলসহ কন্যা ঈষা ও অহনা দেওলকে।