মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
বাড়ি ১০২, সড়ক ১১, বনানী, ঢাকা

পর্যটনে অমৃত সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এই সম্ভাবনাকে আমরা কাজে লাগাতে পারছি না। আমরাই নির্বোধের মতো আমাদের সুন্দর জায়গাগুলো নষ্ট করছি। ভ্রমণে গিয়ে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে যত্রতত্র। বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক এখানে সেখানে পড়ে থাকছে। আর জীবন্ত বিষফোড়া পলিথিন তো আছেই। শিক্ষিত, সচেতন যাঁরা, তাঁরাই বেশি পলিথিন ব্যবহার করছেন। সহজলভ্য বিকল্প নেই বলে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করা যাচ্ছে না। মহামায়া লেক কতই না সুন্দর। স্বচ্ছ জলের অপূর্ব উপস্থিতি। অথচ সেখানে পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল, ক্যাপ ইত্যাদি চোখে পড়ে। বাঁশবাড়িয়া সি বিচ, চন্দ্রনাথ পাহাড়ের নিচে বর্জ্যের বিপুল উপস্থিতি। সেন্টমার্টিন থেকে কয়েক টন বর্জ্য সংগ্রহ করেছে একটি সংগঠন। মানুষ যেখানে বেড়াতে যায়, সেখানে বর্জ্য হবেই। এটা পৃথিবীর সব জায়গায় হয়। কিন্তু অন্য দেশের মানুষ বর্জ্য জায়গামতো ফেলে। আমরা যেখানে সেখানে ফেলে পরিবেশদূষণ করি! সুন্দর জায়গাগুলো পরিণত হয় ময়লার ভাগাড়ে। পরিবেশ সচেতনতার এত অভাব কেন? চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখা নাগরিক দায়িত্ব। আমরা যতদিন না সচেতন হব, ততদিন সরকার যত পদক্ষেপই নিক না কেন—পরিস্থিতির উন্নতি আশা করা বোকামি। ভ্রমণে আমরা যাবো। পরিবেশদূষণ হয় এমন কাজ করবো না। যারা করে তাদের বোঝাবো। তাহলে রাতারাতি পরিস্থিতি পালটে যাবে।
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
বাড়ি ১০২, সড়ক ১১, বনানী, ঢাকা