
সিসিক’র অনিয়ম-দুর্নীতি
সিলেট মহানগরের ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত এবং হকারমুক্ত করতে চেষ্টার কমতি নেই জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরশনের। অথচ সিটির সুরমা উত্তর অংশে হকারদের ১৪ টি বিট করে নিয়মিত চাঁদা (বখরা) আদায় করছেন সিসিক’র এক কর্তা ব্যক্তি। প্রত্যেক বিটে চুক্তি করে ১-২ জন কালেক্টর বা লাইনম্যান দিয়ে রেখেছেন তিনি। এসব কালেক্টর (লাইনম্যান) রাস্তা ও ফুটপাতে বসা হকারদের কাছ থেকে লাইন (চাঁদা) আদায় করে চুক্তি অনুসারে নির্ধারিত হারে টাকা সিসিক’র ওই কর্তাব্যক্তির হাতে তুলে দিয়ে বাকি টাকা তারা নিয়ে যায়।
আর ওই বখরাখোর কর্তাব্যক্তি হচ্ছেন সিসিক’র অভিযান টিমের সুপারভাইজার তোফায়েল আহমদ তারেক। সিসিক সুপারভাইজার তোফায়েল আহমদ তারেক হকারদের ১৪ টি বিটের লাইনম্যানদের কাছ থেকে দৈনিক ৩৪ হাজার টাকা করে বখরা আদায় করে থাকেন।
সুপারভাইজার তোফায়েল নগরের প্রধান ডাকঘরের সামনের বিট থেকে বখরা আদায় করে থাকেন দৈনিক সাড়ে ৯ হাজার টাকা, রংমহল টাওয়ারের সামনের বিট থেকে দৈনিক ১ হাজার টাকা, লালদিঘীরপার বিট থেকে দৈনিক ১৩ শ’ টাকা, করিম উল্লাহর সামন থেকে দৈনিক ১ হাজার টাকা, হাসান মার্কেটের সামন থেকে দৈনিক আড়াই হাজার টাকা, বন্দরবাজার জামে মসজিদের সামন থেকে দৈনিক ১ হাজার টাকা, জিন্দাবাজার বিট থেকে দৈনিক আড়াই হাজার টাকা, চৌহাট্টা পয়েন্ট এলাকা থেকে দৈনিক দেড় হাজার টাকা, আম্বরখানা বিট থেকে দৈনিক ৪ হাজার টাকা, রিকাবী বাজার বিট থেকে দৈনিক ২ হাজার টাকা, পুলিশ লাইনের সামন থেকে দৈনিক ৭শ’ টাকা, কাজির বাজার জিতু মিয়া পয়েন্ট থেকে দৈনিক ৫শ’ টাকা, জেলা পরিষদসহ কীনব্রীজ মোড় বিট থেকে দৈনিক সাড়ে ৪ হাজার টাকা এবং শাহী ঈদগাহ বিট থেকে দৈনিক ২ হাজার টাজা করে লাইন (বখরা) আদায় করে থাকেন। সব মিলিয়ে সিসিক সুপারভাইজার তোফায়েল তারেক প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকা করে হকার লাইনের বখরা আদায় করে থাকেন। ফলে হকাররা রাস্তা ও ফুটপাতে নির্দিধায় ব্যবসা করতে পার।
এ বিষয় জানতে চাইলে শুক্রবার রাতে সিসিক নিরাপত্তা টিম সুপারভাইজার তোফায়েল আহমদ তারেক বখরা গ্রহনের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন- বর্তমানে হকাররা দৌড়ের উপরে রয়েছ।
সূ ত্র: D a i l y S y l h e t e r S o m o y