1. live@shikhabd.info : শিখাবিডি : শিখাবিডি
  2. info@www.shikhabd.info : শিখাবিডি :
রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৩ অপরাহ্ন

দেড় মাসে মেয়র সিন্ডিকেটের নিয়োগ বাণিজ্য ৪ কোটি

প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

 

সিসিক ‘র অনিয়ম ও দুর্নীতি
সিলেট সিটি কর্পোরেনে (সিসিক) অনিয়ম দুর্নীতির তালিকায় যোগ হয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য। অস্থায়ী ভিত্তিতে এ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মেয়র ও তার নিয়োগ সিন্ডিকেট।

কাজ নেই,’চেয়ার নেই, টেবিল নেই, টোল নেই বসারও জায়গা নেই। তবুও প্রত্যেক মেয়াদে চলে লোকবল নিয়োগ বাণিজ্য। কাজের চেয়ে’১৫% বেশি জনবল রয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশনে।

সূত্রমতে সরকারি অনুমোদন না থাকায় প্রতিবারই দৈনিক মজুরিতে লোকবল নিয়োগ দিয়ে থাকে সিটি কর্পোরেশন। আর এ নিয়োগে অঢেল টাকা বাণিজ্য হয় মেয়রসহ নিয়োগ সিন্ডিকেট সদস্যদের। এভাবে বৃদ্ধি পেতে পেতে বর্তমানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৮০ ভাগই হয়ে গেছেন সিন্ডিকেট কর্তৃক নিয়োগের মাধ্যমে। এক হিসেব মতে বর্তমানে মাস্টার রোল তথা অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগকৃত লোকবলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮০৫ জনে। তন্মধ্যে সম্প্রতি ৪৪ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মেয়র পালিয়ে যওয়ায় তাদের ফাইল অনুমোদন না হওয়ায় তারা বাদ পড়েছেন বলে জানা গেছে।

সূত্রমতে ২০২৪ সালের ২১ জুন আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই সক্রিয় হয়ে উঠে তার অনুগত নিয়োগ বাণিজ্য সিন্ডিকেট। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত মাত্র দেড় মাস সময়ের মধ্যে মাস্টার রোলে অস্থায়ী চাকরি দেওয়া হয় ১৭৫ জনকে।

তাদের মধ্যে অনেক আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ভেভিলও রয়েছেন। দলীয় ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত অনেকেই আবার নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন।

মেয়রের দলীয় ও ঘনিষ্ট লোকজন ছাড়া অন্যদের কাছে থেকে মোটা অঙ্কের টাকাও নেওয়া হয়। পদ ভেদে প্রত্যেকের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়। এতে করে চলতি সেশনেই মেয়র, মেয়রের পিএস, এপিএস-সহ নিয়োগ সিন্ডিকেটের ঘুষবাণিজ্য হয়েছে প্রায় চার কোটি টাকা।

সিলেট সিটিতে বিগত মেয়রের সময় থেকেই নিয়োগ বাণিজ্য চলে আসছিলো। আর এ নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন আনোয়ারুজ্জামানের ঘনিষ্টজন সহ সিলেট জেলা আওয়ামী যুবলীগের দপ্তর-সম্পাদক সাজলু লস্কর, ফটোজার্নালিষ্ট শংকর দাশ, শামীম, একলিমসহ আরো বেশ কয়েকজন। এদের মাধ্যমেই চাকরী প্রার্থীদের নিয়ে আসা হতো এবং ঘুষের টাকা আদায় করা হতো বলে অভিযোগে প্রকাশ।

গত বছরের ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের ফলে পালিয়ে যান মেয়র এবং পরে অপসারিত হন। কম সময়ের মধ্যে ৪৪ জন মেয়রের অনুমোদন না পাওয়ায় তারা চাকরি থেকে বাদ পড়ে যান।

নিয়োগে একমাস পরই তাদের ছাটাই করা হলেও নিয়োগে দেওয়া টাকা আর ফেরত পাননি তারা। তাই তারা আর্থিক ও পারিবারিক ভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হলেও আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছেন মেয়র ও তার নিয়োগ সিন্ডিকেট।

সূত্র জানায় যে ৪৪ জন কর্মচারীকে বাদ দেওয়া হয়েছে তারা সিসিকের বিভিন্ন সেকশনে মাস্টাররোলে কর্মরত ছিলেন। তারা একমাস কাজ করেছিলেন। একমাসের বেতনও নিয়েছেন। আর যেহেতু এ বিষয় সরাসরি মেয়র দেখেন। যেহেতু মেয়র পদ নেই বিধায় তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ফাইল অনুমোদন হয়নি। তাই তাদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে তাদেরকে কাজে ফিরিয়ে আনতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে সিসিকে নিয়োগপ্রাপ্ত একদল লোক। তারা ইতোমধ্যে কর্মচারি সংগঠন ও নির্বাচন করে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সূত্রে প্রকাশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) ‘র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোনে তথ্য দিতে সম্পূর্ণ অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

সূ ত্র: দৈ নি ক সি লে টে র সং বা দ

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট