1. live@shikhabd.info : শিখাবিডি : শিখাবিডি
  2. info@www.shikhabd.info : শিখাবিডি :
রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৬ অপরাহ্ন

শেখ হাসিনার ফোনালাপে কাউকে হত্যার নির্দেশ নেই!

প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

 

ডেস্ক নিউজ | বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, কলামিস্ট ডেভিড বার্গম্যান। যাঁর খ্যাতি ব্রিটেন হয়ে ইউরোপ থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যসহ ঢাকায় পর্যন্ত।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের যে রায় ঘোষণা করেছেন আদালত, এ নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর মতে, ২০২৪ সালের ১৪ জুলাইয়ে শেখ হাসিনার এক ফোনালাপকে হত্যার আদেশ হিসেবে দেখা পুরোপুরি ভুল।

শেখ হাসিনা ‘আগেই’ হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন বলে প্রসিকিউশন যে দাবি করেছে এবং ট্রাইব্যুনাল যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, এর ভিত্তি বেশ দুর্বল।

ওই ফোনালাপে শেখ হাসিনা চেয়েছেন আদালতের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হোক। তিনি কোথাও বলেননি, তিনি রাস্তায় আন্দোলনকারীদের হত্যা করতে চান। তাঁর কথোপকথন বিশ্লেষণ করলে আদালতের এই ব্যাখ্যায় (ইন্টারপ্রিটেশনে) ভুল আছে বলে ধারণা হয়।

বার্গম্যান বলেন, তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেয়া হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোনালাপে ‘ফাঁসি’ শব্দটি ‘হত্যা’ বোঝাতে ব্যবহার করেছেন, তাহলেও কথোপকথনের কোথাও তিনি বলেননি, তিনি এমন কোনো আদেশ ইতিমধ্যে দিয়ে দিয়েছেন। অথচ বিচারক এমনটিই দাবি করেছেন। এখানে কোথাও ফাঁসি দেয়া, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা বা কাউকে হত্যা করার কোনো নির্দেশের কথা নেই।

প্রসিকিউশন এই যুক্তি ব্যবহার করছিল যে শেখ হাসিনা ১৪ জুলাই ইতিমধ্যেই হত্যার আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু এই দাবি ভিত্তিহীন। আর যদি এই দাবির ভিত্তি না থাকে, তাহলে ১৬ জুলাই হত্যাকাণ্ডগুলোকে ‘রাষ্ট্রের নীতি অনুযায়ী সংঘটিত’ বলা (যা মানবতাবিরোধী অপরাধ প্রমাণ করার জন্য খুব জরুরি) এবং সেটার পক্ষে যুক্তি দেওয়া অনেক কঠিন হয়ে যায়।

ডেভিড বার্গম্যান বলেন, যদি ট্রাইব্যুনাল যথাযথ যোগ্য ও অভিজ্ঞ ডিফেন্স আইনজীবী নিয়োগ করতেন, তাহলে তারা আসামিকে (শেখ হাসিনা) বাঁচাতে জোর চেষ্টা করতেন। তারা প্রায় নিশ্চিতভাবেই ১৪ জুলাইয়ের কথোপকথন–সম্পর্কিত প্রসিকিউশনের ব্যাখ্যা খতিয়ে দেখতেন। কিন্তু তা না করে তার বদলে ডিফেন্স আইনজীবী শুধু দাবি করেছেন, ফোনালাপগুলো এআই দিয়ে তৈরি করা। তারা এসব ফোনালাপের কোনো স্বাধীন পরীক্ষার আয়োজনও করেননি।

আসামিপক্ষের আইনজীবীর ব্যর্থতা বিচারকদের দায় কমায় না। বিচারকদের নিজেদেরই, বিশেষ করে ১৪ জুলাইয়ের কথোপকথনের ক্ষেত্রে প্রমাণগুলো স্বাধীন ও ন্যায়সংগতভাবে বিবেচনা করা উচিত ছিল, কিন্তু তাঁরা তা করেছেন বলে মনে হয়নি।

সময় থাকলে পড়তে পারেন বার্গম্যানের বক্তব্য ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ত্রুটিপূর্ণ বিচারিক যুক্তি, ফোনালাপে কাউকে হত্যার নির্দেশ নেই’ শিরোনামে।

সূ ত্র:  সু খ ব র ড ট ক ম

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট