
বিশেষ প্রতিনিধি | গোলাপগঞ্জ পৌরসভার রুপসাইল গ্রামের রাস্তা সংস্কারের আবেদনকারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপ-প্রচারের বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে একটি অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়,সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের রুপসাইল গ্রামের একটি রাস্তার জন-দুর্ভোগ নিয়ে অত্র এলাকার নাগরিক কামাল খান পৌরসভার প্রশাসকের কাছে যান।
সেখানে পৌর প্রশাসক প্রথমে কামাল খানকে লিখিত আবেদন দেয়ার কথা বলেন।
পরে যথাযথ নিয়মানুযায়ী রাস্তার জন-দূর্ভোগের কথা তুলে ধরে লিখিত আবেদন দেন কামাল খান।
এদিকে, কামাল খানের আবেদনের পর কিছুদিন যেতে না যেতে প্রতিকার চাওয়ার কারণে, উন্নয়ন বিরোধিতাকারী একটি পক্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আবেদনকারী সংবাদকর্মী কামাল খানের বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালানো হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের ফুলবাড়ি পূর্বপাড়া রুপসাইল গ্রামের বাচ্চু মিয়ার বাড়ির সম্মুখ হতে খোকন চন্দ্রনাথের বাড়ির সম্মুখ পর্যন্ত,প্রতি বছর বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় জমে থাকা বৃষ্টি পানির কারণে উক্ত রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে জনসাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এদিকে গতকাল শনিবার সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে দেখা যায় ওই রাস্তার পাশের টিলার মাটি ধ্বসে এখনো রাস্তায় পড়ে আছে। রাস্তাটিতে কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই।
রাস্তার উভয় পাশে পানি নিষ্কাশনের কোন ড্রেন নেই। এই রাস্তা দিয়ে এলাকার শিক্ষার্থী সহ জনসাধারণ প্রতিনিয়ত চলাচল করেন।
এই এলাকার নাগরিকদের জন-দুর্ভোগের বিষয়টি নজরে পড়ায় সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন’র প্যাডে গত ১৭ আগস্ট পৌরসভার ফুলবাড়ি পূর্বপাড়া রুপসাইল গ্রামের বাসিন্দা কামাল খান ভুক্তভোগী হয়ে গোলাপগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন চন্দ্র পাল বরাবরে রাস্তা সংস্কার করে জনদুর্ভোগ দূর করার বিষয়ে আবেদন জানান।
পৌর প্রশাসকের কাছে আবেদনের চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পর কোন ধরনের প্রতিকার না পাওয়ায় সংবাদকর্মী কামাল খান ফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত মোবাইল নাম্বারে কল দেন এবং সেই কলটি পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার ফোন রিসিভ না করে বারবার কেটে দেন।
এর কিছুদিন পরই গত ১৯ নভেম্বর সংবাদকর্মী কামাল খান এলাকার গণ্যমান্য কয়েকজন ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন চন্দ্র পাল এর কাছে গিয়ে প্রতিকার জানতে চাইলে তিনি তাদের ওপর রাগাঙ্গিত হন।
এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে বলার পর ও অফিসের এক কর্মচারী অন্যের এজেন্ট হয়ে আবেদনকারী কামাল খানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাদিকুর রহমান বিডি আইডি থেকে অশালীন ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়েছে।
এমন ঘটনায় সংবাদকর্মী কামাল খান সমুহ সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-নজর ও সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।